প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:০০

খুব শিগগিরই দুঃশাসনের অবসান হবে : হাবিব উন নবী খান সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
খুব শিগগিরই দুঃশাসনের অবসান হবে : হাবিব উন নবী খান সোহেল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন,আর বেশীদিন নয়, খুব শিগগিরই দুঃশাসনের অবসান হবে, কায়েম হবে  সুশাসন।এ জন্য ভোটচোর এ সরকারকে বিদায় করতে প্রয়োজন আন্দোলন। সেই আন্দোলনের জন্য আমাদের সাথে বগুড়াবাসীও  প্রস্তুতি নিন।ভারতের সাথে করা দেশ বিরোধী চুক্তি বাতিল, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বুয়েটের শিার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অংশ হিসেবে বগুড়া জেলা বিএনপির আয়োজিত বিশাল জনসামবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সকাল ১০ টার আগেই বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ, ভারতের সাথে চুক্তি বাতিল এবং কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নবাববাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের আসে বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলে মিছিলে পরিপূর্ন হয়ে যায় জনসামবেশস্থল। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সামবেশস্থল। গতকাল রোববার দুপুরে শহরের নবাববাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট এ কে এম সাইফুল ইসলাম। বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএম খায়রুল বাশারে পরিচালনায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ আর রাজনৈতিক দল নেই। তারা দূর্নীতি, লুটপাট,  ক্যাসিনো,  জুুয়া ,  চাঁদাবাজ,  মাদক , খুনীর দলে পরিণত হয়েছে। তারা  আগের রাতে ভোট চুরি করে রাতের আঁধারে সিঁদ কেটে ঘরে ঢোকার মতো  মতা দখল করেছে। অথচ তারা বলে বিএনপি পিছনের দরজা দিয়ে মতায় এসেছিল। আসলে তাদের লজ্জা নেই। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা ছাত্রলীগকে শতকোটি টাকা চাঁদা দেন, কোটি কোটি টাকা ইদ সেলামী দেন। যে দেশে ঠিকাদারকে এক বালিশের দাম  সাত হাজার টাকা, পর্দার দাম ল ল টাকা বিল দেয়া হয়, সেই দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দূর্নীতির সাজানো মাামলায় ফরমায়েশী রায় দিয়ে জেলে রাখা হয়েছে। দেশ দূর্নীতিমুক্ত করতে প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা সম্পর্কে  সোহেল বলেন, ফাহাদ হত্যাকারিদেও বিচার হবে না। কারন প্রকাশ্যে ঢাকার রাস্তায় বিশ্বজিত সেন কে  হত্যা করা হলেও  হত্যাকারীদের শাস্তি হয়নি। তিনি আরো বলেন, দিন শেষে রাতে যুবলীগের নেতৃত্বে জুয়া, ক্যাসিনো , মদের আসর নিয়ে ঢাকা আরেক শহরে পরিণত হয়। কিন্তু তাদের ব্যাপারে এতদিন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই জুয়া ক্যাসিনোর সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে  আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়করাতে হবে। সমাবেশে হাবিব উন নবী খান সোহেল আরো বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশের জনগণ। আবার অসময়ে ফারাক্কার সবগুলো গেট খুলে দিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি করা হয়েছে। ভারতের আবদারে এখন আবার ফেনী নদীর পানি দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় রাডার বসিয়ে নজরদারী করবে ভারত! তাতে আর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব থাকলো? আবার রাডার বসানোর কারণে অহেতুক অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমাদের বৈরিতার সৃষ্টি হতে পারে। মংলা বন্দর কার স্বার্থে? কিসের বিনিময়ে ভারতকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন? সেটা জানতে চাইতেই পারে বাংলাদেশের জনগণ। তিনি বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে বিনাভোটের সরকারের সকল অন্যায়-অপকর্ম দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রতিবাদ করতে পারতেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সে কারণেই তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলায় প্রহসনের বিচারে কারারুদ্ধ করে রেখেছেন। তাতেও আপনার শেষ রা হবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে যে অমানবিক আচরণ করছেন, সময়ের ব্যবধানে একদিন আপনাকে এর চেয়েও জঘন্যতম পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। ইতিহাস থেকে শিা নিন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ও বগুড়া পৌর সভার মেয়র এ্যাড.একেএম মাহবুবর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল করিম বাদশা, মাহবুবুর রহমান হারেজ, আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, মাহবুবুর রহমান বকুল, ডাঃ শাহ মোঃ শাজাহান আলী, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সহিদ উন নবী সালাম, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, তৌহিদুল আলম মামুন, আলী হায়দার তোতা, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, এনামুল কাদের এনাম, ওমর ফারুক খান, ভিপি অধ্যাপিকা শামিমা আকতার পলিন, সাইদুজ্জামান শাকিল, মনিরুজ্জামান মনির, বগুড়া জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী লাভলী রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিটুল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আলহাজ্ব আকরাম হোসেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, এস.এম রাসেল মামুন, মশিউর রহমান শামীম, মাস্টার আঃ রাজ্জাক, সেলিম উদ্দিন, ইকবাল কবির পলাশ  প্রমুখ। সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ, ভারতের সাথে করা দেশ বিরোধী চুক্তি বাতিল এবং কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অংশ হিসেবে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত দলীয় র্কাযালয়ের সামনে জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।

উপরে