প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০২০ ১৬:০১

করোনায় মৃত্যু বগুড়ায় এসআই’র লাশ দাফন করলো কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা

করোনায় মৃত্যু বগুড়ায় এসআই’র লাশ দাফন করলো কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণ হারানো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান তালুকদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার রাত আটটায় বগুড়া শহরের শাকপালা এলাকায় তাঁর নামাজে জানাযা শেষে কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনের সদস্যরা লাশ দাফন করে।

এর আগে ঢাকার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নির্দেশ মোতাবেক সীমিত মুসল্লি নিয়ে নিয়ে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজে জানাজায় অংশ নেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান, শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিনসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা।  

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, ১১ মে ডিএমপির এসআই মজিবুর রহমান তালুকদারের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। ওইদিনই তাঁকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সোমবার সকালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে আইইডিসিআরের নির্দেশনা মোতাবেক কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, বগুড়া শাখার ৬জন স্বেচ্ছাসেবকের একটি টিম তাঁর লাশ বগুড়াতে দাফন করে। উল্লেখ্য কোয়ান্টাম বগুড়ার ১৭ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম বগুড়াতে এখন পর্যন্ত ৬ টি লাশ দাফন করেছে, এর মধ্যে ৪টি করোনা সাসপেক্টেড ও ২ টি করোনা পজিটিভ ছিল।

কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনের বগুড়া প্রতিনিধি জানান, দাফনকালে স্বেচ্ছাসেবকদের ১৩ রকমের এবং লাশের জন্য ২৭ রকমের সুরা সামগ্রী প্রয়োজন হয়। দাফন ও সৎকার কাজের পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, সেফটি গাস, ফেস শিল্ড, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গাভস, হেভি গাভস, নেক কভার ও মরদেহের কাফনের কাপড় সবকিছুই কোয়ান্টামের নিজস্ব অর্থায়নে সংগ্রহ করা হয়। মরদেহ বহনের জন্য বিশেষ বডি ব্যাগসহ সুরার জন্য তিন ধরনের জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি মরদেহ সৎকারের পর সুরার জন্য পিপিইসহ পরিধেয় অন্যান্য সামগ্রী কবরস্থানেই পুড়িয়ে ফেলা হয়। করোনায় মৃতদের দাফনে সুরা উপকরণ সংগ্রহসহ পুরো প্রক্রিয়াটিই বিশ্ব স্বাস্থ্য নির্দেশিত মান অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রতিটি দাফনে কমবেশি ১০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। ১৯ মে সারা দেশে ১৬১ জনের মধ্যে ঢাকায় ১৩৯ জনের এবং ঢাকার বাইরে ২২ জনের দাফন সম্পন্ন করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। দাফন কার্যক্রমের পুরো ব্যয়ভারই বহন করছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্য ও শুভাকাঙ্খিরা। চাইলে যে কেউ এই মানবিক উদ্যোগের জন্য যোগাযোগ করে অংশীদার হতে পারেন।

উপরে