প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৪:৫২

বগুড়ায় অগ্রনী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা কর্তনের অভিযোগ

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় অগ্রনী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা কর্তনের অভিযোগ

যে কোন ব্যাংক জনতার বিশ্বস্ত আশ্রয় স্থথল। মানুষ অতন্ত্য আস্থার সাথে ব্যাংকে তাদের আমানত জমা রাখেন। অথচ সেই ব্যাংক আমনতদারদের আমানত অন্যায়ভাবে কর্তন করেছে ব্যাংকেরেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া অগ্রণী ব্যাংকে। জেলার অগ্রণী ব্যাংকের ৩০টি শাখায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রায় দেড় লাখ গ্রাহকের প্রায় চার কোটি টাকা মেইনটেইন্যান্স হিসাবে কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন্দ্রিয়ভাবে এই টাকা কর্তন করা হলে গ্রাহক সেটা মেনে নিত। কিন্তু তা না করে স্থানীয়ভাবে কিভাবে কর্তন করা হলো সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে গ্রাহকের মধ্যে।

প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে পত্র নম্বর সিএডি/৫৩ তারিখ-১১/০৬/২০২০ এক নির্দেশনায় ৩-এর ৭,৩ অনুচ্ছেদের আলোকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ষান্মাসিক গড় স্থিতির ক্ষেত্রে কোন মেইনটেনান্স ফি আদায় করা যাবে না। কিন্তু ব্যাংকের হেড অফিসের এর নির্দেশকে অমাণ্য করে শুধুমাত্র ব্যাংকের লাভ দেখানোর জন্য গ্রাহকদের টাকা কর্তন করা হয়েছে। বিষ্ময়কর ব্যাপার হলো, যার আকাউন্টে ৩ টাকা আছে তার টাকাও সম্পূর্ন কেটে নেওয়া হয়েছে। যা এসময়কার বিশেষ করে করোনা পরবর্তী ঘটনার প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যাংক নীতি চরম বরখেলাপ। শুধুমাত্র ব্যাংকের পোরাদহ শাখার ৫ হাজার ৫’শ হিসাব থেকে এই অপকর্ম করা হয়েছে। আশ্চর্য বিষয় হলো একটি মাত্র শাখা থেকে যদি সাড়ে ৫ হাজার একাউন্টের এরকম টাকা কর্তন করা হয় তাহলে অন্য শাখার কি অবস্থা ! যদি একইভাবে বাকি ২৯টি শাখা থেকে প্রায় দেড় লাখ একাউন্ট থেকে ব্যাংক আইনে অমান্য করে যে টাকা কেটে নেওয়া হয় তবে তার পরিমান দাঁড়াবে প্রায় চার কোটির টাকারও অধিক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এই ব্যাংকের অফিসার্স ক্লাবের একজন ডাকসাইটে নেতার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে আর্থিক অনিয়মের ভয়াবহ চিত্র।

এব্যাপারে ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক শেখ আকরাম হোসেনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এটি ভুলবশত করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করে আরও বলেন, বিষয়টি শোধরানোর চেষ্টা চলছে। 

তবে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা জানান, অবৈধভাবে এই কাজটি করা হয়েছে ব্যাংকের লাভ দেখানোর জন্য। যদিও স্থানীয়ভবে টাকা কর্তন করার কোন নিয়ম নেই। কিন্তু তা করা হয়েছে।

 

উপরে