logo
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২০ ১৭:০৯
অক্সফোর্ড ও মর্ডানার ভ্যাকসিন সবচেয়ে এগিয়ে
অনলাইন ডেস্ক

অক্সফোর্ড ও মর্ডানার ভ্যাকসিন সবচেয়ে এগিয়ে

করোনাভাইরাসকে পরাজিত করতে একের পর এক ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে বিশ্ব। এর মধ্যে অন্তত ১৩টি ইতোমধ্যেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যেতে সমর্থ হয়েছে। তবে এ দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন। ফ্রন্ট রানারের তালিকায় রয়েছে মর্ডানা ইনকরপোরেশনের ভ্যাকসিনও।

বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সৌম্য স্বামীনাথন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন।অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা টীকার উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে বৃটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রাজেনিকা’ ও বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট।

বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীরা যে যেই অবস্থানে রয়েছে, সবদিক বিবেচনা করেই বলতে পারি যে এই দুই ভ্যাকসিন (অক্সফোর্ড ও মর্ডানা) এখনও পর্যন্ত কার্যকারীতায় উন্নতমানের। আমরা সকলেই জানি মডার্নার ভ্যাকসিনটি সম্ভবত জুলাইয়ের মাঝামাঝি তিন ধাপের একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যেতে চলেছে। সেদিক থেকে দেখলে অক্সফোর্ডের থেকে তারা খুব একটা পিছিয়ে নেই।অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ খুব ভালো চলছে। আমরা এখন ভ্যাকসিনটি কত বয়সের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের প্রক্রিয়া চালিত করতে পারে তা মূল্যায়ন করে দেখছি। এ ছাড়া এটি ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম কিনা তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

এপ্রিলে প্রথমবার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করেছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। প্রথম দু’জনের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়েছিল ভ্যাকসিন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন একজন মহিলা বিজ্ঞানী। নাম এলিসা গ্রানাটো। আরো ৮০০ জনকে দুটি দলে ভাগ করে কন্ট্রোলড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হয়েছিল।অক্সফোর্ড জানিয়েছে, দেশের বাইরে প্রথমবার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। এই ট্রায়ালের রিপোর্ট ভাল হলে, অন্যান্য দেশেও ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হবে।

ভ্যাকসিনের ডোজ ঠিক করার জন্য শুকরের উপর ট্রায়াল করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ডের সারা গিলবার্টের টিম। এই ট্রায়ালের দায়িত্বে ছিল পিরব্রাইট ইউনিভার্সিটি। ভাইরোলজিস্টরা বলেছেন, শুকরের বিপাক ক্রিয়া ও কোষের সঙ্গে মানুষের কোষের অনেক মিল আছে। তাই সেফটি ট্রায়াল করে ডোজের সঠিক মাত্রা ঠিক করে নেয়া হয়েছিল।অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন ভাইরোলজিস্ট সারা গিলবার্ট, অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, ডক্টর স্যান্ডি ডগলাস ও অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল। জেন্নার ইনস্টিটিউট ভাইরোলজি বিভাগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই ভ্যাকসিনের ডিজাইন করা হয়েছে। এই গবেষণায় অক্সফোর্ডের পাশে রয়েছে অ্যাস্ট্রজেনেকাও।

অন্যদিকে মডার্না তাদের mRNA-1273 ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। আগামী মাসেই ত্রিশ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহে ট্রায়াল হবে এই ভ্যাকসিনের। সংস্থার সিইও সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন তৈরির কাজ ঠিকমতো চললে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এই ভ্যাকসিন সবার জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব।