প্রকাশিত : ৬ মার্চ, ২০২০ ১৫:৪৬

জীবাণুযুদ্ধের জন্য সৃষ্টি হয়েছে করোনা!

অনলাইন ডেস্ক
জীবাণুযুদ্ধের জন্য সৃষ্টি হয়েছে করোনা!

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) সৃষ্টির সঠিক কারণ নির্ণয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। একারণে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে কানাডার একটি গবেষণাগার থেকে ভাইরাস চুরি করে তার জিনের গঠন পরিবর্তনের কারণে করোনার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন অধ্যাপক। 

‘জেনেটিক্যালি মডিফায়েড’ করোনা চীনের উহান প্রদেশের বায়েসেফটি গবেষণাগার থেকে সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অবগত ছিল বলে দাবি করেছেন রাসায়নিক মারণাস্ত্র বিরোধী সংগঠনের অন্যতম সদস্য ও ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস কলেজের আইনের অধ্যাপক ড. ফ্রান্সিস বয়েল। তার উদ্যোগেই ১৯৮৯ সালে ‘বায়োলজিকাল ওয়েপনস অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাক্ট’-এর বিল পাস হয়।

ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর গবেষণাগারে গোপনে রাসায়নিক  মারণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।

তিনি আরো বলেন, উহানের এই বায়োসেফটি লেভেল ফোর গবেষণাগারকে সুপার গবেষণাগার উপাধি দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু বলেছিল, এই ল্যাবে ভাইরাস নিয়ে কাজ হলেও তা অনেক বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ। অত্যন্ত সুরক্ষিত থাকায় বাইরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।

ড. ফ্রান্সিস বলেন, সার্স ও ইবোলা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার পরে অভিযোগের আঙুল ওঠে এই গবেষণাগারের দিকেই। রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং প্রাণঘাতী জৈব অস্ত্র তৈরিতেই ব্যস্ত ছিলেন গবেষকরা। যারই পরিণতি হাজার হাজার মৃত্যু।

এছাড়া নোভেল করোনাভাইরাস যে রাসায়নিক মারণাস্ত্র, নিশ্চিত করেছেন মার্কিন সিনেটর টম কটনও। তার দাবি, চীন জীবাণুযুদ্ধের জন্য ওই ভাইরাস তৈরি করছিল। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জীবাণুযুদ্ধের বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করছেন। কারণ আন্তর্জাতিক আইনে জীবাণুযুদ্ধ নিষিদ্ধ। জীবাণুযুদ্ধ নিয়ে গবেষণার জন্য চীনকে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।  

২০১৫ সালে রেডিও ফ্রি এশিয়া এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ভয়ঙ্কর, প্রাণঘাতী সব ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা। এর অর্থ জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্রের দিকে ক্রমশ ঝুঁকছে বেইজিং।

ইসরায়েলের সেনা গোয়েন্দা দপ্তরের প্রাক্তন প্রধান লেফটেন্যান্ট ড্যানি শোহামের মতে, বায়ো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চীন। জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ভাইরাস তৈরির ফলাফল হবে ভয়াবহ। প্রতিরোধের আগেই ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে তা মহামারীর আকার ধারণ করবে। 

উপরে