সোনার বাংলা গড়তে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে: মজনু

আজ বিকেল ৪ ঘটিকায় সাতমাথা চত্তরে বগুড়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত শোকাবহ আগস্ট পালনে এক উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা শাখার সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীনের সভাপতিত্বে, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলফিকার রহমান শান্ত’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জননেতা আলহাজ মজিবর রহমান মজনু সাধারণ সম্পাদক বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগ।
প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, এই শোকাবহ আগস্ট মাসে সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট বাঙালী জাতীর জনক স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করে তারভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে সবশেষ ওরা জানে না এক মুজিব লোকান্তরে লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়া সংগ্রামে নিয়োজিত তখনই স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী রাজাকারের দল তাকে হত্যা করে। এই হত্যার মধ্যে দিয়ে তারা বাঙালী জাতির ঐতিহ্যে, সংস্কৃতি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। ঘাতকদের উদ্দ্যেশ্যে ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙ্গে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করা। ৭৫’এর ঘাতকরা হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেন। তারা ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কাজ বন্ধ করে দেয়। জিয়াউর রহমান অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ‘ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। সংবিধানকে ক্ষত বিক্ষত করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পুরষ্কৃত করে। বিদেশে দূতাবাসে তাদের চাকুরী দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধপরাধীদের নাগরিকত্ব দেয়। রাষ্ঠ ক্ষমতায় তাদের অংশীদার করে। পরবর্তী সময়ে বিএনপি জামাত জোট সরকার একই পথ অনুসরণ করে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা এ দেশ, এ দেশের মানুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেই চলছে। তারা ১৭ই আগস্ট সারা দেশে ৬৩ জেলার সিরিজ বোমা নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা ক্ষান্ত হয় নাই তারা আবারও ২১ই আগস্ট গণতন্ত্রের মানুষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা কর্মীদের হত্যা করে। এবং প্রায় ৪০০ বেশি মানুষ আহত হয়। আজও অনেক নেতা কর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরছে। তাই আমি সকল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কর্মীদের সজাগ ও সেচ্চার থাকার আহ্বান জানাই। আর যাতে ঐ কুচক্রী মহল, যুদ্ধপরাধী অগ্নি সন্ত্রসীরা মাথা চারা দিতে না পারে সেই জন্য সব সময় সকল নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকবে হবে। তিনি আরও বলেন, তলা বিহীন বাংলাদের আজ মধ্যমা আয়ের দেশ সেই পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের ভীষন বাস্তবায়নে উন্নতশীল রাষ্ট্রে উপান্তরিত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘‘রূপকল্প ২০৪১’’ ঘষণা করছেন। এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেই সঙ্গে সকল অপারাধীদের দ্রুত বিচার দাবী করছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মোঃ রাগেবুল আহসান রিপু, টি জামান নিকেতা, সুলতান মাহমুদ খান রনি, মোন্তেজার রহমান মন্টু, আবু সুফিয়ান শফিক, আলমগীর বাদশা, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আমিনুল ইসলাম ডাবলু আরো উপস্থিত ছিলেন এ কে এম এনামুল বারী টুটুল, মনিরুজ্জামান মনির, কোয়েল ইসলাম, নাজমুল কাদির শিপন, গোলাম হোসেন, বণি ছদর খুররম, রেজাউল করিম রিয়াদ, রুহুল আমিন বাবুল, মোঃ মশিউর রহমান মামুন, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, শহিদুল ইসলাম বাপ্পী, নাসিমুল বারী নাসিম, মশিউর রহমান মন্টি, আব্দুর রহমান মুন্না, নুরুল আমিন শিশির, আব্দুর রউফ, আনারুল ইসলাম টিটু, নবীর উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, সিরাজুল ইসলাম রতন, খালেকুন নাহার পলি, নুরুন্নবী সরকার, রুকোনুজ্জামান রনি, পাপ্পু, নাজমুল হাসান ওরেনজ, রাশেদ ইসলাম, মীর জোবায়ের জয়, ফেরদৌস জামান মুকুল, গোলাম মোক্তাদির লিমন, ফয়সাল রাব্বী, সোহানুল ইসলাম সোহান, হাজী আলাল, আব্দুস ছালাম, মামুনুর রশিদ মামুন, ওমর ফারুক ঝিনুক, রেফাউল ইসলাম রেফাত, ইমরান হোসেন রাজু, রকি, সজল শেখ আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।