প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৯:২৩

বৃদ্ধাশ্রমে জেলা প্রশাসকের ছেলের ব্যতিক্রমধর্মী জন্মদিন পালন

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
বৃদ্ধাশ্রমে জেলা প্রশাসকের ছেলের ব্যতিক্রমধর্মী জন্মদিন পালন

নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ মা-বাবাদের সাথে কেক কেটে ছেলের সাদাসিদে জন্মদিন পালন এবং নিজের বেতনের টাকা দিয়ে বৃদ্ধশ্রমের মা-বাবাদের দিলেন পাঞ্জাবি-শাড়ি। আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী ছেলের ব্যতিক্রমধর্মী জন্মদিন পালন করেন। এছাড়া ডিসি পত্নী নিজ হাতে সুস্বাদুকর রান্না করে খাওয়ালেন ওই বৃদ্ধাশ্রমের অসহায় বৃদ্ধ মা-বাবাদের।

নীলফামারী জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী তার অভিমতে বলেন- প্রতিটি মানুষ শেষ বয়সে পারিবারিক বন্ধনে থাকতে চান। ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সকলের সাথে হেসে খেলে থাকতে ভালবাসেন। যে ছেলে মেয়ের জন্য জীবনের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের মানুষ করেন, তাদের সাথে শেষদিন পর্যন্ত আনন্দ, হৈহুলুর করে কাটাতে চান। কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু ছেলে মেয়ে মানসিক অবক্ষয়ের কারণে বৃদ্ধা মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যান। এ মানসিকতা থেকে আমাদের বের হতে হবে। বৃদ্ধাশ্রমে ছেলের নিরিবিলি পরিবেশে জন্মদিন পালন করার উদ্দ্যোশ হচ্ছে এসব দেখে ছেলে-মেয়েরা যাতে মানসিক অবক্ষয় থেকে দূরে থাকে এবং অসহায় মানুষদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানুষের পাশে থাকে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সারাজীবন সেতুবন্ধনে থাকে।

নিরাপদ বিদ্ধাশ্রমটি সেঁজেছিল রং-বেরঙ্গের বেলুন দিয়ে সাঁজানো। বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ মা-বাবারাও আনন্দে ভাসছিল। মন ভরে দোয়াও দিয়েছেন এ বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। জেলা প্রশাসক ছেলেকে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা মা-বাবাদের খোঁজখবর নেন। বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ মা-বাবারাই সকলকে নিয়ে কেক কাটেন। সকলকে কেক খাইয়ে দেন। আনন্দে উদ্ভাসিত হয় বৃদ্ধাশ্রমের থাকা মা-বাবারা। এ যেন আপন ঘরে আপন ছেলের জন্মদিন।

এদিকে বৃদ্ধাশ্রমে জেলা প্রশাসকের ছেলের জন্মদিন পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগম।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসান বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, কিশোরীগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ, কিশোরগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ, নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সাজেদুর রহমান সাজু, বৃদ্ধাশ্রমের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক প্রমূখ।

উপরে