প্রকাশিত : ৭ অক্টোবর, ২০২০ ১৮:১৬

শিবগঞ্জে টানা বর্ষানে উজানের পানিতে ৩৫০ হেক্টর ফসলী জমি নিমজ্জিত

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
শিবগঞ্জে টানা বর্ষানে উজানের পানিতে ৩৫০ হেক্টর ফসলী জমি নিমজ্জিত

বগুড়ার শিবগঞ্জে টানা বর্ষার কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩৫০ হেক্টর ফসলী জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত, রোপা আমন ধান সহ মৌসুমী ফসলের ব্যপক তি হওয়ায়, দুঃচিন্তাই পরেছে কৃষক।  

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অসময়ের কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া  করোতোয়া, গাংনই, নাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩৫০ হেক্টর ফসলী জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। নিমজ্জিত ফসলের মধ্যে রয়েছে ২০০ হেক্টর রোপা আমন, ৪০ হেক্টর কলা ও ৬০ হেক্টর মৌসুসী সবজি।  এ উপজেলা কৃষি প্রধান, এ উপজেলার মাটি উর্বর হওয়ায় কৃষকরা তাদের জমিতে রোপা আমন সহ  বিভিন্ন ধরনের শস্য উৎপাদন করে উপজেলার খাদ্য শস্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে থাকে। এ বছর উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের পাশাপাশি শীত কালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধা কপি, মূলা, পিয়াজ, মরিচ, আগাম আলু বীজ রোপন করে পরিচর্যা করে আসছে। কিন্তু কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার মহাবালা, নিয়ামতপুর, কুফা, দোগাছী, নন্দীপুর, সাদুল্লাপুর, অর্জুনপুর, শ্যামপুর, মাঝপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার নদীর তীরবর্তী জমির ফসল আমন ধান, কলা, শীতকালীন সবজি ইত্যাদি ফসল পানিতে তলে যায়। ফলে এ উপজেলার কৃষকদের ব্যপক তি সাধন হয়েছে। শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস শামসুল মন্ডল বলেন, আমার ফসলী জমি করতোয়া নদীর তীরবর্তী হওয়ায়, এবছর  ৪ বিঘা জমির কপি পুরোটাই পানির নিচে তলিয়ে গেছে, কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ৩বিঘা জমিতে আমি মৌসুমি ফসল পটল চাষ করে ছিলাম,তা পুরোটাই এখন পানির নিচে, সফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ৬ বিঘা জমির আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, নদীর তীরবর্তী কলা ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কলাগাছ গুলি ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে এবং কিছু গাছ লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মুজাহিদ বলেন, উপজেলার কিছু নিচু এলাকার ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বন্যার পানি কমে গেলে ফসলগুলির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে। পানি নেমে গেলে আবারও কৃষকরা ঐ জমি থেকে আশানুরূপ ফলন পাবে। তবে তির পরিমাণ এ মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। ক্ষতি গ্রস্থকৃষদের সরকারি কৃষি প্রণোদনা প্রদান করার ব্যবস্থা করা হবে।  এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি আমার কার্যালয়ের উপসহকারি প্রকৌশলী আবু হেলাল পরিদর্শন করেছে। এব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

উপরে