প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২০ ১৩:৪৯

বগুড়ায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বগুড়ায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত

আজ ১০ অক্টোবর শনিবার সাড়া বিশ্বব্যাপি পালিত হচ্ছে ”বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পাখিরা পৃথিবীকে একত্রীভূত রাখে (Birds Connect Our World)’। এ লক্ষ্যে বিবিসিএফ এবং সারা দেশে এর অঙ্গ সংগঠনগুলো যথাযথ গুরুত্বের সাথে এ দিবসটি পালন করছে। বিবিসিএফ বগুড়ার সাতমাথায় সকাল ১০টায় এক বর্নাঢ্য র‌্যালি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বর্নাঢ্য র‌্যালি এবং আলোচনা সভায় বিবিসিএফ এর অঙ্গ সংগঠন ওয়েস্ট, স্বপ্ন,  তীর, স্যানো, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটি, ওয়াইল্ডলাইফ লাভার এবং চলনবিল পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ ফোরাম এর কর্মীবৃন্দ উপস্থিত থেকে দিবসটি উৎযাপন করেন।

র‌্যালি শেষে বিবিসিএফ এর সভাপতি অধ্যাপক  ড. এস,এম, ইকবাল  বলেন- পৃথিবীর প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখির মধ্যে ১৮৫৫ প্রজাতিই (প্রায় ১৯%) পরিযায়ী। বাংলাদেশের ৭০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে, তার মধ্যে ৩০০ প্রজাতির পাখিই পরিযায়ী। এই পরিযায়ীদের মধ্যে আট প্রজাতির পাখি গ্রীষ্মে এ দেশে আসে এবং শীতে চলে যায়।  বাকি ২৯২ প্রজাতির পাখি শীতে এ দেশে আসে এবং গ্রীষ্মের আগে আগে আমাদের দেশ থেকে চলে যায়। উত্তর গোলার্ধে এ অঞ্চলে শীতকালে তুষারপাত হয় না, তাই ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, সাইবেরিয়া ও চিন থেকে পরিযায়ী পাখিদের একটা অংশ এখানে আসে। কেবল তাই নয়, পশ্চিমের আরব ও আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দ্বীপপুঞ্জ থেকেও ঋতু পরিবর্তনের নানা সময়ে পাখিরা এখানে আসে । পরিযায়ী পাখিদের এই যাতায়াতের পথকে উড়ালপথ (ঋষুধিু) বলে। বিশ্বের সবচেয়ে ঘন উড়ালপথটি হচ্ছে ইউরোপ ও এশিয়া থেকে সিনাইয়ের ওপর দিয়ে আফ্রিকা যাওয়ার পথ।

বিবিসিএফ এর উপদেষ্টা মোঃ জিয়াউর রহমান (পরিচালক স্বপ্ন) বলেন -- পরিযায়ী পাখিদের সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা বাডাতে ২০০৬ সাল থেকে এই দিবস পালন শুরু করা হয। বর্তমান বিশ্বের জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একারণে পরিযায়ী পাখিরা মারাত্মক খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়েছে। তাছাড়া এ সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং শিকারীর কারনে প্রতি বছর প্রচুর পরিযায়ী পাখি মারা পড়ে। 

মো: আরাফাত রহমান (সভাপতি তীর) বলেন -- পাখি শিকার আইনত দন্ডীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি পরিযায়ী পাখি শিকার করেন তাহলে তার সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন - মো: ফজলে বারী রতন সহ সভাপতি (সভাপতি, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটি), মোঃ মাসুম মিয়া সহ সভাপতি (সভাপতি, ওয়াইল্ডলাইফ লাভার), এ,টি,এম, আহসান হাবীব তালুকদার রনজু কোষাধ্যক্ষ (সভাপতি স্যানো),  ইঞ্জি. জুনায়েদ আহম্মেদ  সদস্য বিবিসিএফ ডা. এম এ কাদের, মো:মুরাদ (তীর),আহসান হাবীব (তীর), রাকিবুল হাসান (তীর), সাগর রায় (তীর), সিয়াম (তীর), নিরা (তীর), সাবিয়া সুলতানা (তীর), ফজলুল হক (তীর), মোকছেদ আলী (তীর) সহ আরো অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

উপরে