প্রকাশিত : ৬ জানুয়ারী, ২০২১ ১৯:৫৫

বগুড়া নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়া নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়া নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্নসাৎ করা সহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়ম করায় অভিযোগে উঠেছে। উৎকোচ ছাড়া কোন কাজ করেন না তিনি। অধ্যক্ষের একক ক্ষমতার ভয়ে প্রতিষ্ঠানের কেই প্রতিবাদ করেনা। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ না করে চিকিৎসা সামগ্রী, প্রিন্টারের টোনার, কম্পিউটার সামগ্রী, ফটোকপি মেশিন মেরামত, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, বিছানাপত্র, বঙ্গবন্ধু কর্ণার তৈরীর বই, মনোহারী, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, লাইব্রেরীর বই ক্রয়সহ মাঠে মাটি কাটা, গাড়ী মেরামত বাবদ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার অনিয়ম করেছেন। এছাড়া বগুড়া নার্সিং কলেজের নিম্নমানের রাস্তা ও ওয়াল নির্মাণ বাবদ ৩৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। নার্সদের ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং এর নামে প্রশিক্ষনার্থীদের নিম্নমানের কিডস সরবরাহ করেছেন। তার সহধর্মীনি নাজমা বেগমকে দিয়ে একটি কাস করে একাধিক কাস নেয়ার ভূয়া বিল করেছেন। বগুড়া নার্সিং কলেজের আব্দুল আলিম নামে এমএলএসএস থাকা সত্বেও তার নামে কোন বিল তৈরী না করে তার বাসার কাজের ছেলে শিবলুকে দিয়ে এমএলএসএস এবং আতাউর রহমান নামে আরো একটি এমএলএসএস পদ দেখিয়ে দুই জনের ভূয়া বিল তৈরী করে সরকারী কোষাগার থেকে বেআইনী ভাবে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। কোর্স কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্বে থাকাবস্থায় অনারারী লেকচারার হিসাবে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে না। অথচ মনজুর হোসেন ট্রেনিং কোর্স কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গাবতলী পল্লী নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারে ৩টি কাস নিয়ে অর্থ উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করেছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। আরও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা শিক্ষক তার নিকট কোন আবেদন জানালে আবেদনের পাশাপাশি উৎকোচ নিতেন। উৎকোচ ছাড়া কোন কাজ করতেন না। তিনি ছাত্রীদের মেস মানির টাকা আত্মসাতসহ ১২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে মার্কসীট, সার্টিফিকেট এর জন্য নির্ধারিত সাত শত টাকার পরিবর্তে এক হাজার সাত শত টাকা করে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অধ্যক্ষের কাজের লোক শিবলু-কে দিয়ে অফিসের মালামাল ক্রয় বাবদ ভূয়া ভাউচার তৈরী করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বগুড়া নার্সিং কলেজের অফিসের কাজের জন্য ব্যবহৃত ৩০ সিটের গাড়ীটি আত্মীয় স্বজনদের পরিবহনের কাজে ব্যবহার করেছেন। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য সরকারী বাসভবন বাধ্যতামূলক বরাদ্দ হওয়া সত্বেও অধ্যক্ষ (নিজ বেতনে) মোঃ মনজুর হোসেন সরকারী বাস ভবনে না থেকে বাসা ভাড়া উত্তোলন করছেন।বগুড়া নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার মন্তব্য জানতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, পরিচয় জানার পরে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

উপরে