আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস:দুলু
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু বলেন, ১৯৪৯ সালে ২৩ জুনে জন্ম দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ও প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ দলটির শরীরে মোড়ানো আন্দোলন ও সংগ্রামের ঐতিহ্য। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি , প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনির্মানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনই নয় বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারাও। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় ও বাংলাদশের ইতিহাস একই সুত্রে গাঁথা। এ দলের উদ্যোগেই মাতৃভাষা বাংলা অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা আনুষ্ঠানিক মর্যাদা লাভ করে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণ পরবর্তীতে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সর্বাত্বক অসহযোগ আন্দোলন, ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অভ্যূদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নব উদ্যমে সংগঠিত হয়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সু-শাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষায় প্রসার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতি গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আজ জন্মদিনে অংকুরিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সূত্র।
আজ বুধবার শহরের টেম্পল রোড দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি নির্দেশনা যথাযথ প্রতিপালনের জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সংপ্তি কর্মসূচিতে সমাপনী বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মকবুল হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মুকুল, এডভোকেট আমানউল্লাহ আমান, প্রদীপ কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আরিফ ওপেল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেরিন আনোয়ার জর্জিস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাসরিন রহমান সীমা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি হিরো, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক তপন চক্রবর্তী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম শাহজাহান, উপ-দপ্তর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু সেলিম, এম এ বাসেদ, আতিকুর রহমান দুলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক, সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ, অধ্য শহিদুল ইসলাম দুলু, অধ্য শামসুল আলম জয়, অধ্য আহসানুল হক, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, রোমানা আজিজ রিংকি, আলমগীর হোসেন স্বপন, আলতাফুর রহমান মাসুক, কামরুল হুদা উজ্জল, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, জেলা তাঁতী লীগের সাধারন সম্পাদক রাশেকুজ্জামান রাজন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল আলম শাওন প্রমুখ।

ষ্টাফ রিপোর্টার