প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২১ ১৬:৩৮

বগুড়ার শিবগঞ্জে জেলার সবচেয়ে বড় দুইটি গরু প্রস্তুত করেছে খামারী জাফর

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শিবগঞ্জে জেলার সবচেয়ে বড় দুইটি গরু প্রস্তুত করেছে খামারী জাফর

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের আলাদীপুর গ্রামটিতে ঢুকলেই চোখে পরবে এনএটিপি- প্রকল্পের গাভী পালন প্রর্দর্শণী। এই খামারেই প্রস্তুত করা হয়েছে মন্ডল এবং সুন্দর নামে জেলার সবচেয়ে বড় দুইটি কুরবানীর পশু।  দেড় টন ওজনের মন্ডল এবং সোয়া একটন ওজনের সুন্দর এর দাম হেঁকেছেন যথাক্রমে ১৫ এবং ১২ লাখ টাকা। তবে শেষ মুহূর্তে এসে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামার মালিক রত্না এবং তার স্বামী আবু জাফর মন্ডল।

ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরু দুটি কুরবানীতে বিক্রির আশায় দীর্ঘ সময় লালন পালন করেছেন খামার মালিক। বর্তমানে তাদের খামারে রয়েছে ২০টি গরু ও ৪টি ছোট বাছুর। খামারটিতে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে ৩জন কর্মচারী। বিগত কয়েক বছর ধরে নিজ খামারে পালন করা গরু বিক্রি করে এখন সফল খামারীদের একজন তিনি। এখন তাঁর কোনো ব্যাংক লোনও নেই।

রত্নার সাথে কথা বলে  জানা যায়, আট বছর আগে শখের বসে গরু পালন শুরু করেন তিনি। গ্রামের বাড়ির পাশেই তিনি খামারটি স্থাপন করেছেন। স্থানীয় প্রাণি সম্পদ কমপ্লেক্স থেকে সার্বিক সহযোগিতায় গরু গুলি মোটা তাজা করন করেছে। তাকে সহযোগিতা করেছেন তার স্বামী পল্লী প্রাণি চিকিৎসক আবু জাফর মন্ডল। তার সহযোগিতার কারণেই এতো বড় খামার প্রতিপালন করতে হিমশীম খেতে হয়নি। প্রতি বছরই ঈদুল আযহার আগে নিজেদের খামারে পালন করা বিভিন্ন প্রজাতির ষাড় বিক্রি করে ভালো আয় করে থাকেন।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার জাফরিন রহমান জানান, খামারটি প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তাই প্রতি নিয়মিত আমাদের ভ্যাটেনারী সার্জন খামার পরিদর্শন করে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। আমার জানামতে বগুড়া জেলায় এতো বড় ও বেশী ওজনের ষাড় কোথাও নেই। তিনি ষাড়টি বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, আমরা অনলাইনের মাধ্যমে তার গরু বিক্রয়ের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। তুলনা মুলক হারে অনেক কম দামে গরুটি সহজেই যে কিউ কিনতে পারবেন। 

উপরে