গাবতলী উপজেলা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ

বগুড়ার গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (গাবতলী সরকারী হাসপাতাল) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৫০শষ্য (৫০বেড) বিশিষ্ঠ হাসপাতালটির ১০শষ্য (১০বেড) বিশিষ্ঠ একটি ওয়ার্ডে করোনা ইউনিট (আইসোলেশন) করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫জন পুরুষ ও ৫জন মহিলা রোগী আবাসিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রাখা হয়। এ ছাড়াও আরো ২টি বেড অতিরিক্ত রাখা হয়েছে।
অন্যান্য রোগীদের জন্য এখন ৪০শষ্য (৪০বেড) দিয়ে আবাসিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল শনিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ১০শষ্য (১০বেড) বিশিষ্ঠ করোনা ইউনিট (আইসোলেশন) ৬জন ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ২জন পজেটিভ ও ৪জন সন্দেহ ভাজন রোগী। ভর্তি থাকা করোনা পজেটিভ ২জনই পুরুষ এবং সন্দেহ ভাজন ১জন পুরুষ ও ৩জন মহিলা রোগী। এ ছাড়া করোনা ইউনিট (আইসোলেশন) কখনো কম রোগী আবার কখনো পরিপূর্ণ রোগী থাকে।
গত ২৮জুলাই/২১ বুধবার খোঁজ নিয়ে জানা যায় করোনা ইউনিট (আইসোলেশন) পরিপূর্ণ রোগী ভর্তি রয়েছে। এমন কি অতিরিক্ত ২টি বেড এ করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি ছিল। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (গাবতলী সরকারী হাসপাতাল) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গ ৩হাজারের অধিক এবং পজেটিভ ৫২৩জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১০জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই হাসপাতালে ৩টি ধাপে করোনা ভাইরাস উপসর্গ বা সংক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। প্রথম ধাপ বর্হি বিভাগে ফু কর্ণারে অর্থাৎ সন্দেহ ভাজন। ২য় ধাপ মিদু লক্ষণ যুক্ত রোগীকে হোম আইসোলেশনে অর্থাৎ বাসায় রেখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। ৩য় ধাপ মাঝারী ধরনের বা পজেটিভ রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং গুরুত্বর রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আরো উন্নত হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন সেই অনুযায়ী অনেক কিছুই সংকট রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাসপাতালের স্টাফ সংকট রয়েছে। এ ছাড়া মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বেশী প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তবে হাসপাতালে অক্সিজেন এর তেমন সমস্যা নেই। বর্তমানে অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ২৯টি এবং সামান্য অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে এমন অক্সিজেন রয়েছে ৩টি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমীনা পারভীন (শিল্পী) এর সাথে কথা বললে তিনি উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আগে থেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন, আপাতত আমাদের অক্সিজেন এর তেমন সমস্যা নেই। বর্তমানে অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ২৯টি এবং সামান্য অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে এমন অক্সিজেন রয়েছে ৩টি। তবে হাসপাতালে আমাদের স্টাফ সংকট রয়েছে। এ ছাড়া মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বেশী প্রয়োজন রয়েছে। অন্যান্য রোগীদেরও আমরা যথাযথভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ জুয়েল তরফদার উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আমাদের ১০শষ্য (১০বেড) বিশিষ্ঠ করোনা ইউনিট অর্থাৎ আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। যেখানে ৫জন পুরুষ ও ৫জন মহিলা’র আবাসিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও আরো ২টি অতিরিক্ত বেড রয়েছে। তিনি (আরএমও) আরো বলেন, যাদের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে তাদেরকে এই ইউনিটের আইসোলেশনে রাখা হয়। এ ছাড়াও আমরা ৩টি ধাপে করোনা ভাইরাস ও উপসর্গ রোগীদের চিকিৎসা সেবা করে আসছি।