প্রকাশিত : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:১৫

শাজাহানপুরে মাঠে শীতকালীল আগাম সবজি

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শাজাহানপুরে মাঠে শীতকালীল আগাম সবজি
শীতকালীন শাক সবজি আগাম বাজারে তুলতে পারলেই বেশি লাভ, আর একটু দেরি হলেই বেচতে হয় পানির দরে। এ কারণে শাজাহানপুর উপজেলার কৃষকেরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
 
করোনার প্রভাবে আর বৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজি জমি তৈরি করতে এবছর  কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে কৃষকদের। 
 
উপজেলার  বামুনিয়া,শাহ নগর,কামারপাড়া,আমরুল শাকসবজি চাষের প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত।এছাড়াও বেগুন চাষের দাড়িগাছা,মরিচ চাষে গোহাইল জামাদার এলাকা বিখ্যাত।বাজারে আগাম টমেটো  আনতে  দুরুলিয়া থেকে খোট্রপাড়া পর্যন্ত মাচা তৈরি করে টমেটো চাষ করছে।
 
উপজেলার প্রায় সব জায়গায় কমবেশি শীতকালীল আগাম সবজি  মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ও পেঁয়াজের চাষ হয়।
উপজেলার কৃষি কার্যালয় সূত্রে মতে, এ বছর উপজেলায় ১২৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
সরেজমিনে উপজেলার বামুনিয়া,শাহনগর, চোপিনগর কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা শীতের আগাম সবজির চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ সবজির চারা খেতে লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। 
 
চোপিনগর  এলাকার চাষি এনামুল হকের (৪৫) সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, তাঁর ৬০ শতক জমিতে মূলার সঙ্গে লাল শাক চাষ করেছেন।শ্রমিকের মজুরি বেশি, তাই মহিলা কিষাণী দিয়ে জমিতে আগাছামুক্ত করছি।
 
বামুনিয়া চাঁদ বাড়িয়া  গ্রামের চাষি সাইফুল ইসলাম (৪০) জানান, এ বছর প্রথম বার ২০ শতাংশ জমিতে আগাম ফুলকপির চাষ করছেন।বীজ কোম্পানি ইউনাইটেড সীড মুক্তা জাতে চারা সংগ্রহ করে রোপন করেন।ফলন খুব ভালো হয়েছে,চাহিদা বেশি থাকায় জমি থেকেই ১০০ টাকা কেজি পাইকারি ফুলকপি নিয়ে যাচ্ছে। আশাকরছেন সব খরচ বাদ দিয়ে ৫০ হাজার টাকার মত লাভ হবেন।
 
দাঁড়িগাছা এলাকার বেগুন চাষি মতিউর রহমান জানান, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে  বেগুন চাষ করছি।বৃষ্টিতে গাছের বৃদ্ধি কম হলেও, এখন বেগুন গাছগুলো স্বাভাবিক আছে।আবহাওয়া এমন থাকলে আগামী মাসে ফলন পাওয়া যাবে।
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান,উপজেলায়  চাষিদের বিশেষ নজর থাকে শীতকালীন সবজির দিকে।উপজেলায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষাবাদ হচ্ছে।উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ স্থানীয়ভাবে কৃষকদের নানা রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপরে