প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৬

বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ

বগুড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। এদিকে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সন্তানের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরা অভিভাবকরা মনে স্বস্থি ফিরে পেয়েছেন। স্কুলে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে শিক্ষার্থীরাও। বিশেষ করে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের ‘গৃহবন্দি’ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বিদ্যালয় খোলার আগমূহুর্তে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কার্যক্রম চলছে। এরই অংশ হিসেবে বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডির তত্বাবধানে চলছে শ্রেণিকক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চ এবং কক্ষের দেয়ালে জমে থাকা মাকড়সার জাল অপসারণ করা হচ্ছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতধোয়ার বেসিন স্থাপন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাতধোয়ার সঠিক নিয়ম, মাস্ক পরার নিয়ম, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচারও টাঙানো হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানে । কোনোভাবেই গাদাগাদি বা ঠাসাঠাসি করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার সুযোগ নেই।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখায় যায়, তাদের ব্যস্ততা। কেউ স্কুলের প্রতিটি কোনায় কোনায় জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ শিশুদের খেলনাগুলোতে ধুলোবালি পরিষ্কার করছেন। পুরো ক্লাসরুমকে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছেন পরিছন্নকর্মীরা। ইলেক্ট্রিশিয়ান দিয়ে প্রতিটি ক্লাসরুমের বাতি ও ফ্যানগুলোকে চেক করাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট বার্নাড তমাল মন্ডল জানান, দীর্ঘদিন বন্ধের পর স্কুল খুলবে, এই খবরে খুশিতে আত্মহারা কোমলমতি শিশুরা। তারা স্কুলে যাবে, নতুন বই পড়বে। নতুন বন্ধু-বান্ধবী হবে। স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে দেখা যাবে তাদের হৈ-চৈ ও আড্ডা। দীর্ঘদিন পর স্কুলমাঠগুলো পূর্ণতা পাবে তাদের পায়ের ছোঁয়ায়।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডি জানান, দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দেখি না। মন হাঁসফাঁস করছে তাদের জন্য। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটারাইজের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে শিক্ষার্থীদের জন্য। ঘন ঘন হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। একবেঞ্চে দুইজন শিক্ষার্থী বসানো হবে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে জানায়, দীর্ঘ সময় পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষাজীবন নিয়ে তারা বেশ চিন্তিত ছিল। এখন মনে স্বস্থি ফিরে এসেছ। স্কুলে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে তারা। করোনাকালীন সময়ে তারা ভার্চ্যুয়াল পাঠদান গ্রহন করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এটি একটি আবদ্ধ পরিবেশ। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই প্রযুক্তি নির্ভর ও গৃহবন্দি থেকে মুক্ত জীবনে ফিরতে পারবে এমন মন্তব্য করে তারা।

উপরে