প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২১ ২০:০৯

জেলে বসে নৌকাকে হারিয়ে চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা

অনলাইন ডেস্ক
জেলে বসে নৌকাকে হারিয়ে চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা

আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারাগারে বসে নির্বাচন করে ২১৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন বাহারুল আলম। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। বাহারুল ওই ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি পদে আছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রাহাত তানভীর চৌধুরী বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। 

আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মো. বাহারুল আলম তিন হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা পেয়েছেন দুই হাজার ৮৯১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূর রহমান এক হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরিফুর রহমান মাহমুদ নৌকা প্রতীক নিয়ে এক হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি বাহারুল আলম মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি। ১৫ দিন আগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ মন্দিরে হামলার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।

এদিকে প্রার্থী কারাগারে থাকলেও তার অনুসারীরা তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যান। এর মধ্যে আদালতে জামিন আবেদন প্রার্থনা করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এদিকে বেগমগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে বাহারুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন। তার পক্ষে তার সমর্থকরা প্রচার চালান। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপার ও বেগমগঞ্জ ও নরোত্তমপুর ইউনিয়নে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৮ জন এবং ইউপি সদস্য (মেম্বার) পদে ৪৯০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ছয়জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পাঁচজন ও বিএনপি সমর্থিত তিনজন প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

উপরে