প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:২২

পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে

গত দু’দিন ধরে পঞ্চগড়ের আকাশ আংশিক মেঘলা। সেই সাথে বইতে শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া। একারণে সূর্য দেখা গেলেও উত্তাপ কম অনুভূত হয়েছে। কমতে শুরু করেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যত কাছাকাছি অবস্থান করবে ততই বেশি শীত অনুভূত হবে বলছেন আবহাওয়াবিদরা। এ জন্য সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি একটা না কমলেও বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

বুধবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। আর মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বদলগাছিতে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে শীত বাড়ার সাথে সাথে নতুন-প্রুনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে। বেশি ভির লক্ষ্য করা গেছে ফুটপাথের পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। তবে সেখানে আগের চেয়ে অনেক বেশি দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। যা অনেকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ তৈরীর কারিগররাও। একেকজন কারিগর প্রতিদিন গড়ে ১০/১৫টি করে লেপ সেলাই করছেন বলে জেলা শহরের কদমতলা রোডের তুলা ব্যবসায়ী আব্দুল জলীল জানান। তিনি জানান, তুলা ও কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার লেপের দামও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পর উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন আগেভাগেই লেপ সেলাই করছেন। কেউবা আবার পুরোনো লেপ নতুন করে সেলাই করে নিচ্ছেন।

তবে শীত নিয়ে শংকায় রয়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল শ্রেণীর লোকজন। লেপ তৈরী করার মতো তাদের কোন সামর্থ নেই। তাই শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে চট বা ছেড়া কাপড় দিয়ে পুরনো কাথা মেরামত করার চেষ্টা করছেন তারা। প্রচন্ড শীতে কাহিল মানুষদের জন্য প্রতিবছর সরকারীভাবে শীতবস্ত্র বিরতণ করা হয়। কিন্তু এগুলোর পরিমাণ এতই নগন্য যে একটি গ্রামের মাত্র দুই একজন এর সুযোগ পায়। বেসরকারী উদ্যোগে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও শহরের আশপাশেই এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকে। প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন এই সকল শীতবস্ত্রের দেখাই পায়না। 

 

উপরে