প্রকাশিত : ১ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৪৯

মুগদায় দুই গ্রুপের মারামারিতে কলেজছাত্র নিহত

অনলাইন ডেস্ক
মুগদায় দুই গ্রুপের মারামারিতে কলেজছাত্র নিহত

রাজধানীর মুগদার মান্ডায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই গ্রুপের মারামারিতে রাকিবুল ইসলাম রাতুল (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মান্ডা প্রথম গলিতে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, এক রিকশাচালক সন্ধ্যার পরে আহত রাতুলকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ওই হাসপাতাল থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

স্বজনরা জানান, যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের আতিকুর রহমানের তিন ছেলের মধ্যে মেঝো রাতুল। বর্তমানে খিলগাঁও ত্রিমহোনী মাদবর বাড়ি রোডে থাকতেন।

হাসপাতালে রাতুলের বন্ধু মো. পারভেজ ও মো. ফাহিম জানান, রাতুলের পরিবার বর্তমানে খিলগাঁও থাকলেও এর আগে মান্ডা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সেই খাতিরে এখনও মান্ডা এলাকাতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন রাতুল। গত শনিবার রাতে তাদের এলাকার বড় ভাই সজিব মান্ডার ১ম গলি দিয়ে যাওয়ার সময় এলাকারই হিরা ও রবিউল সজিবের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। তখন সজিব রবিউলকে একটি চড় মারে। এরপর তারা সেখান থেকে চলে গেলেও রোববার রাতুলসহ তার বন্ধুরা ওই এলাকায় আড্ডা দেওয়ার সময় তাদেরকে মারধর করে হিরা ও রবিউল গ্রুপ। এতে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়। হাসপাতালে আহত সজিবের পিঠে ৮টি সেলাই করা হয়। রাতেই দুই পক্ষ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে।

তারা আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যার পরে হিরা ফোন করে মিমাংসার জন্য তাদেরকে ডেকে নেয়। তখন তারা ৫-৬ জন ওই গলিতে পৌঁছালে হিরা ও রবিউল গ্রুপ তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে। এতে বাকি সবাই দৌড়ে চলে আসতে পারলেও তাদের হাতে আটকা পড়ে রাতুল। তখন হিরা, রবিউল, নাসির, আশিক, রাকিব, মঙ্গল, সজল, সাগর, শাওনসহ ২০/২৫ জন রাতুলকে মারধর করে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।

উপরে