প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২৩ ২১:৩৫

আদমদীঘিতে মধু মাসের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে ফলের বাজার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আদমদীঘিতে মধু মাসের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে ফলের বাজার

বগুড়ার আদমদীঘিতে মধুু মাসের রসালো ফলে ভরে উঠেছে বাজার গুলো। জৈষ্ঠ মাসের শুরুতেই ফলের বাজারে উঠতে শুরু করেছে মধু মাসের রসালো বিভিন্ন রকমারি নানা ফল। লিচু, তরমুজ, আম, বাঙ্গি, লটকন সহ নানা ফল দোকান গুলোতে থরে থরে সাজানো আছে। এখনো পর্যন্ত আম পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে উঠতে শুরু করেনি। তবে এখন বাজারে যেসব আম উঠেছে সে সব আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয়েছে বলে এমন মন্তব্য অনেক ক্রেতারা। সু-স্বাদু ফলের মৌ মৌ গন্ধে উপজেলার আনাচে কানাচে এখন অনেটাই মাতোয়ারা। কিন্তু এসব ফলের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে ক্রয় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। মধু মাসের নানা স্বাদ ও বর্ণের মধু ফলের তালিকায় আম, জাম, লিচু ও জাতীয় ফল কাঁঠালের অবস্থান সবার শীর্ষে। বর্তমানে দোকান গুলোতে তরমুজ ও লিচু এখন বেশি কেনাবেচা চলছে। তবে এখনো তেমনটা দেখা মেলেনি জাতীয় ফল কাঁঠালের। উপজেলা সদরের দোকান গুলো ঘুরে দেখা গেছে, সবুজে ঢাকা ভেতরে লাল টুকটুকে মিষ্টি রসালো তরমুজ বাজারে উঠেছে প্রচুর পরিমাণে। বাজারে এ ফলের বিক্রি এখন সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে তরমুজ গুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০টাকা কেজি দরে। আম প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ১শ’ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা এবং আনারস প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। উপজেলার কাশিমালকুড়ি গ্রামের ফল ব্যবসায়ী শামিম মন্ডল বলেন, বাজারে মৌসুমী ফল ব্যাপক হারে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতারা সাধছন্দে নতুন ফল কিনছে। উপজেলার কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু জানান, ঋতু ভিত্তিক নানা ফলে এখন বাজার ছয়লাব। সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়েই সবাই মধুমাসের ফল কিনছেন। এ বিষেয়ে কথা হয় ফলের বাজারে আসা দিব্যেন্দু কুন্ডু দুলাল নামের এক ক্রেতা’র সঙ্গে তিনি জানান, পঞ্জিকা মতে আজ সোমবার বৈশাখ মাসের শেষদিন (সংক্রান্তি)। হিন্দুধর্মালম্বীদের প্রতিটি পরিবারে ১লা বৈশাখ তুলসী গাছে মাটির ঝড়া লাগানো হয়। এক মাস ওই ঝড়াতে জল নিবেদন শেষে বৈশাখ মাসের শেষদিন (সংক্রান্তির) দিন নতুন ফল দিয়ে পুজা অর্চনা করে তুলসী গাছ থেকে মাটির ঝড়া নামানো হয়। আর সে কারনেই নতুন ফল কিনতে এসেছি। তিনি আরো বলেন, বাজারে বাহারি ফলের সরবরাহ ভালো থাকলেও নিম্নআয়ের অনেকেরই এসব ফল কেনা বেশ কষ্টকর। পরিবারের সদস্যদের মধুমাসের ফলের স্বাদ দিতে চাইলেও সাধ ও সাধ্যর ব্যবধানে অনেকের সম্ভব না।

উপরে