যমুনার গর্জনে বিলীন ঘর-বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

বগুড়া ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহরাবাড়ি ঘাটে ভয়াবহ যমুনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বন্দরের একাংশ। গত কয়েক দিন যাবত উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক গতিতে পানি বৃদ্ধি পায় এবং পরে আস্তে আস্তে পানি কমতে শুরু করেছে। যমুনার পানি বৃদ্ধির পরে কমতে শুরু করায় প্রবল স্রোতে নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে বেশ কিছু দোকান ও প্রায় ৭০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এই যমুনার ভাঙ্গন আতঙ্কে আরোও অনেক ঘর-বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোকান সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ঘাট এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সমতল ভূমি ধসে পড়ে যমুনার পেটে চলে যাচ্ছে। আর এই যমুনার ভাঙ্গন ধেয়ে আসছে বাঁধের দিকে। যার ফলে শঙ্কায় দিন পার করছেন যমুনা পাড়ের অসহায় মানুষ। এদিকে যমুনা নদীর বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে গাছের গুড়ি, ভাঙ্গা ঘরের টিন, কাঠ, বাঁশের টুকরো আর মানুষের কান্নাকাটির আহাজারি।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে , কিছু প্রভাবশালী বালু খেকোদের তান্ডবে অতিষ্ট এই অঞ্চলের অসহায় সাধারণ মানুষ গুলো। যমুনা নদীর কিনারা থেকে দিনে রাতে চলে তাদের এই অবৈধ্য বালু ব্যবসার মহাযজ্ঞ। প্রশাসনের কাছে ধরনা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। বরংচো নানা রকম ভয়-ভীতি আর আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়। তাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে অসহায় সাধারণ মানুষের স্মৃতি আর স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এই বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য আর প্রশাসনের নীরবতায় হারিয়ে যাচ্ছে এক সময়ের বন্দর। তাই দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ না নিলে শতাধিক দোকান পাট ও ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলে যাবে যমুনা নদীরগর্ভে।
এবিষয়ে বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানায় যে, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহরাবাড়ি ঘাটে ভয়াবহ যমুনার এই ভাঙ্গন রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম অব্যহত আছে। পানি কমে গেলে এই ভাঙ্গনের স্থায়ী সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।