চড়কাণ্ড ভুলে ‘এমান্সিপেশন’ দেখার আহ্বান স্মিথের

গত বছর ৯৪তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ক্রিস রককে ‘কুখ্যাত’ সেই চড় দেওয়ার পর দীর্ঘদিন মিডিয়ার আড়ালেই ছিলেন অস্কারজয়ী অভিনেতা উইল স্মিথ। অবশেষে লম্বা বিরতির পর উইল স্মিথ তাঁর নতুন চলচ্চিত্র ‘এমান্সিপেশন’ নিয়ে হাজির হচ্ছেন পর্দায়। ডিসেম্বরের শুরুতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাওয়া স্মিথের নতুন চলচ্চিত্রটির অফিশিয়াল ট্রেলারও প্রকাশ হয়েছে ইতিমধ্যে। বর্তমানে সিনেমার প্রচারণায় ব্যস্থ থাকলেও, নিজের সেই ভুলে এখনো অনুতপ্ত অভিনেতা। তাঁর অভিনীত আসন্ন সিনেমাটি দর্শক গ্রহণ করবে কিনা, এ নিয়েও শঙ্কায় আছেন স্মিথ।
এ বিষয়ে উইল স্মিথ বলেছেন যে, তিনি বিষয়টি বোঝেন। যদি দর্শকরা তাকে পর্দায় দেখতে না চান তবে তিনি অবাক হবেন না। কারণ তিনি ক্রিস রককে অস্কারের মঞ্চে চড় মারার পর থেকে দর্শকদের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েছেন। কিন্তু তিনি আশা রাখছেন যে তাঁর সেই কর্মকান্ড তাঁর আসন্ন চলচ্চিত্রটিকে শাস্তি দেবে না।
সম্প্রতি ‘ফক্স ৫’ এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা দর্শক ও ভক্ত-অনুরাগীদের মিশ্র অনুভূতির বিষয়ে কথা বলেছেন। তাঁর প্রতি দর্শকদের নেতিবাচক অনুভূতির কথাও স্বীকার করেছেন। অভিনেতা বলেছেন, “আমি সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারছি বিষয়টা। যদি দর্শকরা প্রস্তুত না থাকে আমাকে পর্দায় দেখতে, তাতে আমি অবাক হব না। আমি শুধু আমার দলের কথাই ভাবছি। আমার গভীর উদ্বেগ আমার দলের সকলকে নিয়ে। পরিচালক অ্যান্টোইন তাঁর পুরো ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় কাজটি করেছে এই চলচ্চিত্রে। ‘এমান্সিপেশন’-এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই তাদের পুরো ক্যারিয়ারের সেরা কিছু কাজ করেছে। আমার একমাত্র আশা এই যে, আমার সেই ভুলের জন্য দর্শক যেন আমার দলকে শাস্তি না দেয়! দর্শকদের ‘এমান্সিপেশন’ দেখার আহ্বান জানাই। ”
অভিনেতা আরো বলেন, “আমি আশা করছি যে দর্শক সিনেমাটি দেখবে। এর গল্প, গল্পের সময়োপযোগীতা, প্রতিটি অভিনয় শিল্পীর কঠোর পরিশ্রম, সবকিছুই এটিকে দুর্দান্তভাবে তৈরি করতে সাহায্য করেছে। অবিশ্বাস্য সব শিল্পীদের দেখতে এবং চিনতে সিনেমাটি সকলের দেখা উচিত। ”
একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘এমান্সিপেশন’ মূলত ক্রীতদাস পিটারের (স্মিথ) গল্পে নির্মিত, যে তাঁর পরিবারের সন্ধানে পালিয়ে যায়। জীবনের শত প্রতিকূলতা, প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও রক্ত শিকারিদের ছাড়িয়ে এগিয়ে যায় এবং পথে লুইজিয়ানা জলাভূমির মৃত্যুকূপ থেকেও বেঁচে যায়। পিটার অবশেষে ইউনিয়ন সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। একটি মেডিক্যাল পরীক্ষার সময়, তার খালি পিঠে প্রায় মারাত্মক বেত্রাঘাতের দাগ দেখা যায়, যা নিঃসন্দেহে আমেরিকায় দাসত্বের নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা প্রমাণ করে। ’ এমনই একটি গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘এমান্সিপেশন’।
এন কোলাজের স্ক্রিপ্ট থেকে নির্মিত সিনেমাটির পরিচালনা ও নির্বাহী প্রযোজনা করেছেন অ্যান্টোইনে ফুকা। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন স্মিথ ও জন মোনে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান