logo
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০২১ ১৭:২৩
বগুড়ায় হিমাগার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার আলু চুরি করে বিক্রি
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ায় হিমাগার থেকে প্রায় দেড় কোটি
টাকার আলু চুরি করে বিক্রি

বগুড়ার শাজাহানপুরে হিমাগার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের আলু চুরি করে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি গ্রামের মৃত আজহার আলী সরকারের ছেলে আলহাজ্ব সোহরাব আলী সরকার গত ফেবরুয়ারি মাসে বগুড়ার নাটোর রোড সংলগ্ন গোহাইল ইউনিয়নের জামাদার পুকুর এলাকায় নিউ আফরিন কোল্ড স্টোরেজে ২৩ হাজার ৪৬৫ বস্তা ও খরনা ইউনিয়নের টেংগামাগুর ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে ২০৭২৫ বস্তা মোট ৪৪ হাজার ১৯০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেন । যথাক্রমে প্রত্যেক বস্তায় আলু ছিল ৭১ কেজি করে। যার হিমাগার মূল্য প্রত্যেক কেজি আলুর দর ছিল ৩ টাকা।

আলুর মালিক সোহরাব হোসেন গত কোরবানির আগে আলু বিক্রয় করার জন্য ওই হিমাগার দুটিতে খোঁজ নেন। সেই সময় তিনি আলু বিক্রি করার জন্য বস্তার হিসাব চাইলে জানতে পারেন তার নির্দিষ্ট মজুদের চাইতে ৯১৫৮ বস্তার কোন হিসাব মিলছে না। এ সময় তিনি হতাশ হয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তাকে ৯/৬ হিসাব বুঝে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আলু মজুদকৃত মালিক সোহরাব হোসেন বিষয়টি আরো ভালোভাবে জানার চেষ্টা করলে জানতে পারেন উভয় কোল্ড স্টোরেজের মালিক কাহালু থানার মুরইল এলাকার মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ইতিপূর্বে স্টোরেজের ম্যানেজার যথাক্রমে (১) আবু ওবায়দা ও (২) রুবেল হোসেন এর যোগসাজশে উক্ত আলুর বস্তা গুলো ১৬ টাকা দরে বিক্রয় করে দেন।

এ বিষয়ে কোল্ড স্টোরেজের মালিকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন ভুলক্রমে বিক্রয় হয়ে গেছে বিকৃত আলুর টাকা পরিশোধ করা হবে। পরবর্তীতে আরও জানা যায় ৯১২৮ পিচ খালি বস্তা তারা অন্যত্র বিক্রয় করে দিয়েছে। আরো জানান, পরবর্তীতে মহাজনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান মহাজন্ ১৬ টাকা দরে আলু বিক্রি করেছে কিন্তু তিনি ১০ থেকে ১২ টাকা দরে পরিশোধ করতে চান। তিনি এও বলেন যে আপনার টাকা আপনার আলু রাখার যে বিল হবে এর মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে এ বিষয়ে শাজাহানপুর প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক অভিযুক্ত নিউ আফরিন হিমাগারে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হ্যারেজমেন্ট স্বীকার করেন এবং কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ অফিস থেকে চলে যান।

পরবর্তীতে টেঙ্গামাগুর ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে গেলে প্রথমে গেটম্যান তাদেরকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেন না পরবর্তীতে কোন ভাবে ভেতরে যাওয়ার পরে জানা যায় ম্যানেজার থাকা সত্ত্বেও কেউ তার সন্ধান দেন না এবং এখানেও অফিস ছেড়ে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ বাইরে যান। ফিরে আসার সময় গেট মানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এই কেলেঙ্কারির পর থেকেমালিকের অনুমতি ছারা কোন প্রকারের সাংবাদিক হিমাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে শাহজাহানপুর থানা তদন্ত অফিসার নান্নু খান জনায় মৌখিক অভিযোগ দিলে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখেন। তার সঙ্গে কথা বললে তিনি আরো জানান আমি বিষয়টি সরেজমিনে পর্যালোচনা করে দেখেছি ঘটনার সত্যতা চিহ্নিত করা গেছে তবে হিমাগারের মালিক খলিলুর রহমান প্রথমে মীমাংসা করার কথা বললে পরে তিনি তা আর মানছেন না ।

এ বিষয়ে শাহজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা বললে তিনি জানান মৌখিক অভিযোগ সূত্রে তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা জানা গেছে তবে লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আমরা খুব তারাতারি আইনগত ব্যবস্থা নেব। পরবর্তীতে অভিযুক্ত হিমাগারের ম্যানেজার ও মহাজনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের ফোন রিসিভ করেন না।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আরো জানান বিগত কয়েক বছরে তারা এরকম ধরনের পাইকারি ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষকদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। হিমাগারে আলু মজুদকারী আলহাজ্ব সোহরাব আলী সরকার প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ এবং পাওনা টাকা দ্রত উদ্ধারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।