logo
আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৩২
পঞ্চগড়ে আইনজীবীর বাসায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ভ্রাম্যমান আদালত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে আইনজীবীর বাসায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ভ্রাম্যমান আদালত

পঞ্চগড়ে এক আইনজীবীর বাসায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদুল হক। ভ্রাম্যমান আদালতে বরকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে নিস্তার পান ওই আইনজীবী।

শনিবার গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা এলাকার আইনজীবী মোহাম্মদ রবিউল ইসলামের বাড়ির ব্যাক্তিগত অফিস কক্ষে ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। 

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ে অনেক সময় অপ্রাপ্তবয়স্ত কিশোরী-কিশোরকে হলফনামার (এফিডেভিট) পর আদালতের মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয়। আইনজীবী মোহাম্মদ রবিউল ইসলামের বাড়িতে এমন একটি বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে রাতে ওই আইনজীবীর বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় কিশোর-কিশোরীর অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সদর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বর শাহিনুর রহমানকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ১২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদুল হক। আইনজীবী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম নিজের ভুল বুঝতে পেরে সাজা হিসেবে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান। মুচলেকায় তিনি নিজের ভুল শিকার করে ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না এবং আগামী একমাসে বাল্য বিবাহ বন্ধে অন্তত পাঁচটি সচেতনতামুলক কাজ করবেন বলে অঙ্গিকার করেন। পাশাপাশি বাল্য বিবাহ বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন বলেও তিনি মুচলেকায় উল্লেখ করেন। পরে কিশোর-কিশোরীকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদুল হক বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বরকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি হলফনামার মাধ্যমে বাল্য বিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগ থাকায় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান। মুচলেকায় তিনি এক মাসের মধ্যে বাল্য বিবাহ বন্ধে পাঁচটি সচেতনতামুলক কাজ করবেন বলে উল্লেখ করেন।