বিদ্যালয়ে যাওয়া হলো না শিশু নিকেতন বিদ্যালয়ের প্লে শ্রেণির ছাত্রী আরমিন আক্তার (৭) এর। সে মায়ের সাথে ভ্যান যোগে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হয়। নিহত শিশু আরমিন আক্তার উপজেলা সদরের সুদিন গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে বগুড়ার আদমদীঘি হাসপাতালের পশ্চিম পার্শ্বে খাদ্য গুদাম এলএসডি মোড়ে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় আহত ভ্যান চালক সহ ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মোটরসাইকেলটি আটক করেছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আদমদীঘি উপজেলা ক্যাম্পাসের বাসা থেকে আরমিন আক্তারকে তার মা রাবেয়া বেগম অটোভ্যান যোগে শিশু নিকেতন বিদ্যালয়ে নিয়ে যাবার পথে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের হাসপাতালের পশ্চিম পার্শ্বে খাদ্য গুদাম এলএসডি মোড় অতিক্রম করার সময় সান্তাহারগামী মহিলাসহ তিন জন আরোহি নিয়ে একটি মোটরসাইকেল ওই অটোভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দিলে ভ্যানগাড়ী থেকে ছিটকে পড়ে ভ্যানের যাত্রী শিশু আরমিন, তার মা রাবেয়া, ভ্যান চালক তালশন গ্রামের প্রশান্ত চন্দ্র ও মোটরসাইকেল চালক দুপচাঁচিয়ার তালোড়ার নাহিদ, মোটরসাইকেল আরোহী আদমদীঘি উপজলোর কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের বাগিচাপাড়ার সেকেন্দারের ছেলে আজাদুল ও তার স্ত্রী জান্নাতুল বেগম সহ ৫জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত শিশুকন্যা আরমিন আক্তারকে আদমদীঘি হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।এ ঘটনায় পুলিশ মোটরসাইকেল আটক করেছে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বাদী না থাকায় শিশুটির লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।