logo
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৬:২২
কবিতা, কথামালা ও সুরের ঝর্ণাধারায় লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কবিতা, কথামালা ও সুরের ঝর্ণাধারায় লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

একটি ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশের লাখো শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাল স্বেচ্ছাব্রতী নাগরিক সংগঠন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম। গতকাল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে, বিকাল ৪ টায় লালমাটিয়াস্থ’ মোহাম্মদপুর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 
কবিতা, কথামালা ও সুরের ঝর্ণাধারায় অমীয় বজ্রধ্বনিতে দেশের সূর্যসন্তানদের স্মরণ করাও আমাদের জন্য কম গৌরবের নয়। তাদের মহান আত্মত্যাগ ও গৌরব দীপ্ত সংগ্রামের ফলেই আমরা আজ পাকিস্তানিদের জুলুম, নির্যাতন, শোষণ, বৈষম্য ও বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি।  আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন পতাকা, স্বাধীন রাষ্ট্র ও একটি নতুন লাল সূর্য।
 
কবিতা, কথামালা ও সুরের ঝর্ণাধারায় জমে ওঠেছিল বিজয়ের উৎসব। স্বাধীনতা ও বিজয়ের চেতনায় কবিদের কলম জেগে ওঠেছে, কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে স্বাধীনতা ও মুক্তির গান। ফোরামের সাংগঠনিক সচিব, কবি মাশুক শাহী, সাংস্কৃতিক সচিব শাহিদা পারভীন, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. আরিফ আজাদ ও পাপ্পী তালুকদার লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বরচিত বিজয়ের কবিতা আবৃত্তি করেন। এছাড়াও ফোরামের সদস্য নিপেন চন্দ্র বালা, সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে ‘বিক্ষোভ’ কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান। এরপর ফোরামের সহ সদস্য সচিব আসমা আকতার, সাংগঠনিক সচিব মাশুক শাহী  ও শামসুন নাহার আজিজ লীনা বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা ও মুক্তির গান পরিবেশন করেন।

বিজয়ের কবিতা পাঠ শেষে প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের সভাপতি এস এম আজাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে  ‘বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধ’ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। ফোরামের সভাপতি এস এম আজাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রুহি দাস, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নেটওয়ার্ক (বিএফএসএন) এর চেয়ারম্যান মহিদুল হক খান, সৈয়দা ইয়াসমিন, মো. সোহেল রানা, জাহানারা হাসান পান্না, মোহাম্মদ তূর্য্য, মোহাম্মদ সুমন শেখ ও রাশেদুল ইসলাম রাশেদসহ নাগরিক সংগঠনের আরো অনেকেই ‘বিজয় দিবস ও মুক্তিযুদ্ধ’ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, তরুণ সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের নেতৃত্বে আসতে হবে। যে আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে এদেশের লাখো শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, আজকের তরুণ প্রজন্মই পারে সেই স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন  করতে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, বীরের জাতি হিসেবে বাঙালি জাতির আত্মপ্রকাশের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাইলফলকের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিন অপরাহ্নে, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি হায়েনার দল পরাজয় স্বীকার করে  আত্মসমর্পণ করেছিল। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও  মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ বাংলার স্বাধীনতা পেয়েছি। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।