কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে জাতীয় কিডনি হাসপাতালেই

দেশের দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান। জনগণকে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালমুখী করতে আগ্রহী সরকার। চলছে কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রমও। কিডনি চিকিৎসায় শয্যাসংখ্যা দেড়শ থেকে পাঁচশোতে উন্নীত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এতে দেশে কিডনি রোগীদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. মিজানুর রহমান বলেন, তিন জন রোগী ভর্তি আছেন জাতীয় কিডনি হাসপাতালে। আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস উপলক্ষে প্রতিস্থাপন করা হবে একজনের কিডনী। বাকিগুলো করা হবে চলতি মাসের মধ্যেই।
তিনি বলেন, "আমরা কোভিড রোগীদের জন্যও কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য ইউনিটগুলো দেড়'শ থেকে পাঁচ'শ বেড করা হয়েছে। এখন চালু হওয়ার অপেক্ষায়"।
তবে লোকবলের সংকট রয়েছে জানিয়ে বলেন, "আমাদেরকে যদি দ্রুত লোকবল দেওয়া যায়, খুব দ্রুতই চালু করে ফেলব। সেটা যদি সময়সাপেক্ষ হয়, ফ্রিল্যান্স ওয়ার্কার নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ করবো"।
ঠিক ঠাক সহযোগিতা পেলে ‘হাসপাতাল থেকে কোনো রোগী ফিরে যাবে না’ বলেও জোরদার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ পরিচালক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যবান্ধব। বেসরকারি হাসপাতালে দুই লাখ টাকায় লেপেরোস্কোপি সার্জারি করা হয়, কিন্তু আমাদের হাসপাতালে মাত্র দশ টাকার একটি টিকিটেই আমরা এটি করতে পারব’।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, দেশে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে অভাব রয়েছে সচেতনতার। যে কারণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডোনার পাওয়া পাওয়া যায় না। ঘাটতি অনুযায়ী ডোনার পাওয়ার সাথেও সম্পর্ক থাকে কিডনি প্রতিস্থাপনের। পর্যাপ্ত ডোনার পেলে এ সমস্যার দ্রুতই সমাধান ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্ব কিডনি দিবসের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল।
এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।